মোঃ সিদ্দিকুর রহমান স্টাফ রিপোর্টার :
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অঞ্চলিক অফিস মহাখালী জোন ৩ এর আওতাধীন জোন ৩/২ এর সেকশন -১,ব্লক -জি রোড নং- ১,বাড়ি নং-১,থানা শাহ আলী মিরপুর-১ ঢাকা ১২১৬ এই বাড়ির মালিক মোহাম্মদ সৈয়দ আহম্মেদ। তার মেয়ে সৈয়দা ফাতিমা বেগম বাবার বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ( রাজউক)বরাবর। বাড়ির মালিক ও নির্মাণ প্রতিষ্ঠানকে কোন প্রকার অবহিত না করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আকস্মিকভাবে রাজউক মহাখালী জোন ৩/২ এর ইমারত পরিদর্শক মোঃ আবুল কালাম আজাদের ভুল তথ্যের উপরে বাড়িটি উচ্ছেদের অভিযোগ উঠে ।
সাংবাদিককে স্থানীয়রা জানায় ইমারত পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ টাকা না পেলে ইচ্ছে মত উচ্ছেদ অভিযানের প্রস্তাব দেয় কর্তৃপক্ষকে । অথচ মিরপুর-১ এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়ির চূড়ান্ত নোটিশ দেয়া সত্বেও মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে উচ্ছেদ প্রস্তাব দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে ইমারত পরিদর্শক আবুল কালামের নামে। দৈনিক গণতদন্ত পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হাসমত মিয়া জানায় সেকশন ১ ব্লক জি, প্লট ১/১ চিড়িয়াখানা রোড থানা শাহ আলী নাসিম টাওয়ারের মালিক মৃত নাসিম মিয়া।
এই জায়গার মালিক মৃত বন্দেআলী মিয়া যার সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ রয়েছে। এই অবৈধ জমির উপরে নকশা বিহীন অবৈধ ভবন নির্মাণ করায় সাংবাদিক হাসমত মিয়া রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ( রাজউক) বরাবরে অভিযোগ করলে কর্তৃপক্ষ চুড়ান্ত নোটিশ দেয়। ঐ অবৈধ ভবনটি ইতিমধ্যে মহাখালী জোন ৩/২ এর অথরাইজড অফিসার এবং সহকারী অথরাইজড অফিসার এবং পরিচালক অবৈধ ভবনটি পরিদর্শন করার পরেও ইমারত পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ ১০ লক্ষ টাকা ঘুষের বিনিময়ে উচ্ছেদ প্রস্তাব দিচ্ছে না বলে একাধিক সূত্র জানায়। এই ইমারত পরিদর্শ আরো বেশ কয়েকটি বাড়ির উপরে নক্সা বহির্ভূতভাবে কাজ করায় কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত নোটিশ দিয়ে থাকলেও কর্তৃপক্ষের নোটিশকে উপেক্ষা করে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে উচ্ছেদ প্রস্তাব দিচ্ছে না বলেও জানা যায়।
অদ্য ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিলাব্রত এর নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে সাথে ছিল জোন ৩/ ২ এর অথরাইজড অফিসার ও সরকারি অথরাইজড অফিসার সহ বেশ কয়েকজন ইমারত পরিদর্শক। উপরোক্ত উচ্ছেদ অভিযানের বাড়িট রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে বিবাদী করে সাংবাদিক মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান ও আলফালাক রিয়েল এস্টেট লিঃ এর জেনারেল ম্যানেজার মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে একটি রিপিটেশন দায়ের করে যার নং- :১২:৫৫৪/২০২৩ রিট চলাকালীন অবস্থায় মহামান্য হাইকোর্টকে উপেক্ষা করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে বলে জেনারেল ম্যানেজার মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান জানায়। এ বিষয়ে একটি সাইনবোর্ড লাগানো রয়েছে বাড়ির সাথে ।
স্থানীয়দের অভিযোগ তাদের কারো কোন কথা পাত্তা না দিয়ে শুধুমাত্র মেয়ের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে বাবা সৈয়দ আহমাদের বাড়ি উচ্ছেদ করতে আসে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে আলফালাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম জাকারিয়া এবং জমির মালিক মোঃ সৈয়দ আহমদের নিকট জানতে চাইলে তারা জানায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে কোন প্রকার নোটিশ প্রদান করেনি। এ বিষয়ে এ প্রতিবেদক ইমারত পরিদর্শ আবুল কালাম আজাদকে প্রশ্ন করলে তিনি কোন কথা বলেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে মৌখিক অভিযোগকারী সৈয়দা ফাতিমা বেগমের নিকট থেকে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে ইমারত পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ নোটিশ বানিয়ে গোপন রেখে কোম্পানির কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষতি সাধন করে। একাধিক সূত্র জানায় এ প্রতিবেদক কে ইমারত পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ জোন ৪ থাকা অবস্থায় এভাবে ঘুষ বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
অভিযান পরিচালনা করার সময় উপস্থিত জনতা অভিযান পরিচালনায় থাকা কর্তৃপক্ষের সামনে স্থানীয় জনগণ আবুল কালাম আজাদ এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন বাড়ি থেকে মোটা অংকের ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তলায় আবুল কালাম আজাদ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। বাবা সৈয়দ আহমেদ এবং মেয়ে ফাতিমা বেগমের বিষয়টি ইতিপূর্বে বিজ্ঞ আদালতে নিষ্পত্তি হয়েছে বলে ফাতিমার "মা" মনিরা বেগম জানায় এ প্রতিবেদককে। আদালতে নিষ্পত্তিকৃত বিষয় এবং মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে কোন বাড়ি উচ্ছেদ করতে পারে কিনা এটা সাধারণ জনগণের প্রশ্ন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) নিকট।